টেস্ট অভিষেকেই ঝলকে উঠলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লুয়ান-দ্রে প্রিটোরিয়াস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়েছেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ। দেশের সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট শতকের রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি, অভিষেকে শতক হাঁকানো সবচেয়ে কনিষ্ঠ ক্রিকেটারদের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
প্রিটোরিয়াস যখন ব্যাট হাতে নামেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ড ২৩ রানে ৩ উইকেট। টানাকা চিভাঙ্গা তিনটি উইকেটই তুলে নিয়ে বড় ধাক্কা দেন। কিন্তু এরপরই দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া প্রিটোরিয়াস পাল্টা আক্রমণে নামেন, আর ইনিংস গুছিয়ে নেন।অভিষিক্ত আরেক ব্যাটার ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সঙ্গে মাত্র ৮৮ বলেই গড়ে তোলেন ৯৫ রানের জুটি। এই দুই তরুণের ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরে পায় প্রোটিয়ারা।
মাত্র ১৯ বছর ৯৩ দিন বয়সে শতক করে প্রিটোরিয়াস উঠে যান টেস্ট ইতিহাসের দশম সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানদের তালিকায়। অভিষেকে শতক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ। পাশাপাশি ১৯৬৪ সালে গ্রায়েম পোলক গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সী সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডটিও ভেঙে দেন প্রিটোরিয়াস।
এই বাঁহাতি ব্যাটারের ইনিংস থামে ১৫৩ রানে, ১৬০ বল খেলে। চিভাঙ্গার বলে বিদায় নেওয়ার আগে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আর এতেই ভেঙে ফেলেন জাভেদ মিয়াঁদাদের রেকর্ড, টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে ১৫০ রানের ইনিংস খেলা ক্রিকেটার এখন প্রিটোরিয়াসই।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেনার হলেও, জাতীয় দলে ব্যাট করেছেন অন্য পজিশনে। তবুও সেই ভিন্নতায় ছাপ ফেলেননি পারফরম্যান্সে। সদ্য শেষ হওয়া ২০২৫ সালের এসএ২০ লিগে সর্বোচ্চ রান করে জায়গা করে নিয়েছিলেন জাতীয় দলে, অভিষেকেই প্রমাণ করলেন তিনি কেন ভবিষ্যতের বড় ভরসা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপাজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটি নিঃসন্দেহে দারুণ এক বার্তা। প্রিটোরিয়াস ও ব্রেভিসের মতো তরুণরা যেভাবে অভিষেকেই বড় ইনিংস খেলেছেন, তাতে ভবিষ্যতের স্কোয়াড গঠনে আনন্দদায়ক জটিলতায় পড়বে দল নির্বাচকরা।