জেলা প্রতিনিধি, ফেনী
রাজধানীসহ সারাদেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে হঠাৎ বেড়েছে ডিমের দাম। ফেনীর পাইকারি বাজার গুলোতে দুদিনের ব্যবধানে ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে দাম বৃদ্ধির হার আরও বেশি। এতে বিপাকে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। ডিম ছাড়াও বাজারে দাম বেড়েছে মাছ মাংস,আলুসহ বিভিন্ন কাছা সবজির দাম।
হঠাৎ ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ফেনী সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটের ডিম ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সভাপতি মো: ফারুক জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাজারে ডিমের দাম কম ছিল। শুক্রবার থেকে হঠাৎ প্রতি ডজনে ১০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। সরবরাহের ঘাটতির কারণে দাম বাড়েছে। তবে দাম বাড়ার আসল কারণ বলতে পারবে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, আগে যেখানে প্রতি গাড়িতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার ডিম আসত। এখন সেখানে ৪০ থেকে ৫০ হাজার আসছে। যাদের দুই গাড়ি ডিম আসত, তাদের আসছে এক গাড়ি। এতে বাজারে চাহিদার তুলনায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। খামারিরা বয়স্ক মুরগি বিক্রি করে দিয়েছে। যার কারণে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। অনেক ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে করপোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের ইচ্ছেমতো দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। ডিমের দাম আবার কবে কমতে পারে জানতে চাইলে ডিম বিক্রেতা বলেন, কাঁচামালের দাম কখন কমবে, কখন বাড়বে সেটা আগে থেকে বলা যায় না। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে, সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে।
হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডিমের উৎপাদন হ্রাস ও সরবরাহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা মনে করছেন, এটি বিক্রেতাদের কারসাজি সিন্ডিকেট করে তারা তাদের ইচ্ছা মত ডিমের দাম বাড়িয়েছে।
রোববার (৯ জুন) ফেনীর পাইকারি ও খুচরা ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা, হালি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মুরগির সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, হালি বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা।
গত বৃহস্পতিবারেও ফেনীর বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়, সাদা ডিম ১৪০ টাকায়। বাজারের তুলনায় এলাকাভিত্তিক স্থানীয় বাজারগুলোতে ডিমের দাম আরও বেশি। কোথাও কোথাও ১৭০ টাকা পর্যন্ত প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার থেকে বাজারে বাড়তি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। তাদের দাবি, ডিম উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই, যার ফলে দাম বেড়েছে ডিমের।