দুর্ভোগের মধ্যেই পরীক্ষায় অংশ নিলেন শিক্ষার্থীরা

দুর্ভোগের মধ্যেই পরীক্ষায় অংশ নিলেন শিক্ষার্থীরা
সারাদেশ সিলেট

জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দুই দফা বন্যার কবলে পড়ে সুনামগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলা। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের ৮ দিন পর সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সুনামগঞ্জে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বন্যা দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

গত ৩০ জুন থেকে সারাদেশের সাথে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও জেলার বন্যা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরগতিতে। তবে এখনো অনেক এলাকায় সড়কে পানি থাকায় দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এসব শিক্ষার্থীরা। সড়কে ও বাড়ির আঙিনায় পানি থাকার কারণে অনেকেই পরীক্ষার আগের দিন কেন্দ্রের আশে পাশে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন।

এবার সুনামগঞ্জ জেলায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ১৮০ জন। এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার ৭১৬ জন। পরীক্ষার কেন্দ্র ২২টি। ৬টি কেন্দ্রে আলীম পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৭৬ জন। ২টি কেন্দ্রে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষার্থী ৮৪২ জন এবং ২টি কেন্দ্রে এইচএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ৫৪৬ জন।

এদিকে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে ও বাড়ির আঙিনায় পানি থাকায় অভিভাবকরা সন্তানের পরীক্ষা নিয়ে অনেকটা উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, পরীক্ষার সময় ঘরে পানি প্রবেশের কারণে ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারেনি। পরীক্ষায় কী আসবে, কী লিখবে তারা এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।

বড়পাড়া এলাকার ঝর্না বেগম বলেন, আমার ছোট ভাই এবার এইচএসসি দিচ্ছে, দুইবার বন্যার জন্য প্রস্তুতিতে সমস্যা হয়েছে। এমনকি আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে। কি আর করা, বোর্ড পরীক্ষা দিতেতো হবেই।

সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,  সুনামগঞ্জে এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে দুই একটা পরীক্ষার কেন্দ্রে পানি থাকলেও সারা জেলায় প্রভাব পড়েনি। এছাড়া দুই-চারটা এলাকায় রাস্তাঘাটের অসুবিধা থাকার কারণে তারা আগেই কেন্দ্রে চলে আসছে। আমরা আগেই বোর্ড থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চিঠি দিয়েছি, বৃষ্টি থাকলে যেনো আগেই পরীক্ষার হল খুলে দেওয়া হয়।

প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমি বিভিন্ন উপজেলা পরিদর্শন করেছি, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো পেয়েছি তবে কিছু কিছু এলাকায় অনুউপস্থিতি হতে পারে সেটা ২টার পরে আমরা পেয়ে যাবো। শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে বলে জানান তিনি।