অনলাইন ডেস্ক
ঈদ ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে রাজধানীর পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ১৪৭ জন ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে এবং অন্যভাবে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১৭৫ জন ভর্তি হয়েছেন এই হাসপাতালে।
এ ছাড়া কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে শুধু ঈদের দিনেই ১৭০ জন মৌসুমি ও শখের কসাই আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। দুই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজ্জামান বলেন, ‘গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৩২২ জন রোগী দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছেন। আরও কিছু ছিলেন, তাঁরা অল্প আঘাত বা আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সেসব রোগী চলে গেছেন। ভর্তিদের মধ্যে ১৪৭ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।’
এদিকে ঢাকাসহ আশপাশের জেলার পাড়া-মহল্লাতে কোরবানির পশু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭০ জন চিকিৎসা নিয়েছে।
তাঁদের মধ্যে নুরুল ইসলাম (৬৯) নামে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের বেশির ভাগই শখে গরু কোরবানির সময় সহযোগিতা ও গোশত কাটতে গিয়ে আহত হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নির্ঝর বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদের দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগী এসেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই হাত, পা কাটা। গরু জবাই ও গোশত কাটতে গিয়ে তাঁরা আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নুরুল ইসলাম (৬৯) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে।’
রাজধানীর সবুজবাগ বাসাবো থেকে হাসপাতালে আসা এনায়েতুল্লাহ চৌধুরী (৫৬) বলেন, তিনি নিজেই গরু কোরবানি দিয়েছেন। দুপুরে গ্যান্ডিং মেশিনের সাহায্যে গরুর হাড্ডি কাটছিলেন। এ সময় গ্যান্ডিং মেশিন ছুটে তাঁর পায়ে লেগে কেটে যায়।
নারায়ণগঞ্জ পাইকপাড়া গরুর গুঁতায় পেটে আঘাত পেয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন কসাই আমিরুল ইসলাম (৪০)। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে তাঁরা ছয়জন একটি বড় গরুর জবাই করার প্রাক্কালে গরুর শিংয়ের গুঁতায় তিনি আহত হন। এ ছাড়া ধানমন্ডির ১ নম্বর রোডে একটি বাড়িতে গোশত কাটার সময় মৌসুমি কসাই নজরুল আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।