পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের ৩০ শতাংশ ভোটার কোন দিকে যাবে

পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের  ৩০ শতাংশ ভোটার কোন দিকে যাবে
আন্তর্জাতিক


কলকাতা শহর থেকে অনেকটা দূরে, সরু রাস্তা আর প্রচণ্ড যানজটের মধ্য দিয়ে আমরা পৌঁছলাম হাদিপুর গ্রামে, যেখানে মুহম্মদ কামরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার স্কুল বাড়িতে।

সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মি. কামরুজ্জামান। রাজ্যে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৪০-৫০ হাজার। তার মতে, মুসলমানরা জানে যে বিজেপি মুসলমানদের বিরুদ্ধে, আবার তারা তৃণমূলেরও বিরুদ্ধে। কিন্তু তৃণমূলকে ভোট দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প মুসলমানদের সামনে নেই।

পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের সঙ্গে কথা বললে তারা শিক্ষা বেকারত্বকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করলেও মি. কামরুজ্জামানের মতে, প্রধানমন্ত্রী মি. মোদী যখন অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন করছেন, তখন মমতা ব্যানার্জী দীঘায় একটি মন্দির নির্মাণ করছেন।

তার কথায়, “ধর্মীয় কোনও কাজ করা তো সরকারের দায়িত্ব নয়। তারা সকলের কল্যাণের জন্য কাজ করবে। মি. মোদী যে পথে এগোচ্ছেন, সেই পথে হাঁটছেন মমতাও। তবুও মুসলমানরা বাধ্য হয়েই নরম-হিন্দুত্বের দিকে ভোট দেন।

উচ্চশিক্ষা মুসলমানদের মধ্যে বেকারত্বের সমস্যা ছাড়া আরও একটি কারণে মমতা ব্যানার্জীর ওপরে ক্ষুব্ধ মি. কামরুজ্জামান : ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে নির্বাচনে না গিয়ে একাই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তের জন্য।

তাঁর মতে, এর ফলে কংগ্রেস-বাম দল তৃণমূলের ভোট ভাগ হয়ে যাবে।

তবে এই ত্রিমুখী লড়াইয়ে তৃণমূলের সুবিধা হবে বলেও মনে করছে কোনও কোনও মহল।

"ভোটের দুই-চার দিন আগে আমরা ঘোষণা করব যে প্রতিটি কেন্দ্রে কাকে ভোট দেওয়া উচিত হবে, যাতে বিজেপির পরাজয় আমরা নিশ্চিত করতে পারি।

শিখা মুখার্জী অবশ্য বলছিলেন, অধীর রঞ্জন চৌধুরী বা বাম দলগুলির সঙ্গে আপস করতে চাননি মমতা ব্যানার্জী, তাই তাঁর কাছে একা লড়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।