সুমন দাস, বাগেরহাট
বাগেরহাটে গলায় ফাঁস দিয়ে ব্যবসায়ী
মোঃ আবু দাউদ শেখ ও তার স্ত্রী কোহেলি সুলতানা লাকি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার(
৪ জুলাই) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর এলাকায় নিজ বসতঘর থেকে মোঃ আবু দাউদ শেখের
ঝুলন্ত দেহ এবং তার স্ত্রী কোহেলি সুলতানা লাকির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে
নেওয়ার পথে মোঃ আবু দাউদ শেখের মৃত্যু হয়। পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মুঠোফোনে কথা বলা
নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথমে স্ত্রী এবং পরে স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করেছে।
নিহত মোঃ আবু দাউদ শেখ (৪৫)
বৈটপুর এলাকার মৃত আজিজ শেখের ছেলে। কোহেলি সুলতানা লাকি মোঃ আবু দাউদ শেখের স্ত্রী।
নিহত দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস একাদশ শ্রেনিতে এবং
ছেলে মোঃ আল কাইয়ুম ৭ম শ্রেনির শিক্ষার্থী।
বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের নারী
ইউপি সদস্য রেকসনা বেগম বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম আমার কাছে একটা ফোন আসে । আমি শুনতে পেলাম আবু দাউত ও স্ত্রী
লাকি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কি
করনে করছে এখন পযন্ত জানিনা।
ফয়সাল আহমেদ নামের এক প্রতিবেশী
বলেন, গতকাল রাতে মোঃ আবু দাউদের ঘরের পাশে তার বড় ভাই নিজাম শেখের নাতনির জন্মদিনের
অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে আবু দাউদের ছেলে-মেয়ে গেলেও, আবু দাউদ ও তার স্ত্রী যায়নি।
কেন যায়নি এটি নিয়েও গুঞ্জন চলছে।
এদিকে এক সাথে স্বামী-স্ত্রীর
অস্বাভাবিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্না থামছে না ছেলে-মেয়ের। যেকোন
মূল্যে বাবা-মাকে ফিরে চেয়ে বিলাফ করছেন একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মোঃ
সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। নিহতদের
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত
রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।