বিক্ষোভ নিয়ে যা বললেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি

বিক্ষোভ নিয়ে যা বললেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি
আন্তর্জাতিক

উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহর। ওয়াশিংটনে হালকা বৃষ্টির মধ্যেও যেমন বিক্ষোভ করেছে মানুষ, তেমনি নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউইয়র্ক, মিশিগানের আকাশে-বাতাসেও ছিল ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একের পর নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন সব পদক্ষেপ নিয়েছেন যার প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে হয়েছে বিক্ষোভ। শনিবার ‘হ্যান্ডস অফ’ নামের এই বিক্ষোভ ছিল দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প আসার পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসন নিয়ে অবস্থান,সামাজিক নিরাপত্তা ও চিকিৎসা ব্যয়ে বরাদ্দ কমিয়ে আনার মত বিষয়গুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের সংঘাতে দেশটির সরকারের অবস্থান নিয়েও বাসিন্দারা খুব বিরক্ত।

তবে এসব এক অর্থে উড়িয়ে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি বলেছেন, ‘যারা মনে করছেন বিক্ষোভ, মামলা, আইন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বিরত রাখবে তাঁরা আসলে বেশ কয়েক বছর ধরে ঘুমিয়ে আছেন। কঠোর পরিশ্রমী করদাতা আমেরিকানরা যারা তাঁকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করেছে তাদেরকে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমাদের ফেডারেল সরকারকে আরও কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক করার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসবেন না।’

এদিকে বার্তাসংস্থা এপিকে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান পরিষ্কার। তিনি সব সময় যোগ্য ব্যক্তিদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও ওষুধ রাখবেন। ডেমোক্র্যাটদের সময়ে অবৈধরাও এ সুবিধা পেয়েছে যা কর্মসূচিটাকে দেউলিয়া করেছে, সিনিয়র আমেরিকানরা বঞ্চিত হয়েছে।’

বিক্ষোভে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশাপাশি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেওয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব নেন মাস্ক। এরপর থেকে ব্যয় কমিয়ে আনার ব্যাপারে ট্রাম্পকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে বিগত কয়েকমাসে চাকরিচ্যুত হয় কয়েক লাখ মানুষ।