রংপুরে সিন্ডিকেট আতঙ্কে ভুগছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

রংপুরে সিন্ডিকেট আতঙ্কে ভুগছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা
সারাদেশ রংপুর

জেলা প্রতিনিধি, রংপুর 

রংপুর নগরীসহঅঞ্চলে এবারও দাম নিয়ে সিন্ডিকেট আতঙ্কে ভুগছেন চামড়া ব্যবসায়ীরাগত বছরও একই পরিস্থিতি ছিলএতে সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম নির্ধারণ করায় ব্যববসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেনক্রমাগত লোকসানের কারণে অনেকেই পেশা বদল করেছেনএনিয়ে চরম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রংপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরাতারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তারা ব্যবসায় লোকসান গুনছেনন্যার্য দামও পাচ্ছেন নাএতে তারা পূঁজি হারিয়ে পথে বসছেনঅনেকেইব্যবসা ছেড়ে পেশাও বদল করেছেনএজন্য ন্যায়্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে রংপুরে ট্যানারি স্থাপনের দাবি সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, রংপুরসহ রংপুর অঞ্চলে প্রতি বছর কোরবানীর সময় প্রতিটি জেলায় দেড় থেকে দুই লাখ পিচ চামড়ার আমদানি হয়সেই হিসেবে প্রতি বছর কোরবানীর সময় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ পিচ গরুর চামড়া আমদানি হয়ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এবার সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারেরংপুরে কয়েক বছর আগেও ২’শ ওপর চামড়ার গোডাউন ছিলবর্তমানে তা নেমে এসেছে ২০ থেকে ২৫ টিতেএবার চামড়া ব্যবসায়ীদের হতে নগদ টাকা নেইব্যাংক থেকেও ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেইবিগত দিনের বকেয়া পরে রয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ট্যানারিগুলোতেএনিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে 

জানাগেছে, রংপুরসহ অত্র অঞ্চলে প্রায় ৫শতাধিকের বেশি চামড়া ব্যবসায়ী টাকার অভাবে এবার চামড়া ক্রয় করতে পারবেন না বলে সন্দিহান হয়ে পড়েছেগত বছরের মত এবারো অর্ধেক দামে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে এমনটা শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা 

এদিকে ঢাকার বাইরে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫০ টাকা।  ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা গত বছরের মত সিন্ডিকেট করে ট্যানারি মালিকরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে 

নগরীর শাপলা চত্বর এলাকার কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত বছর অর্ধেক দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারাক্রেতা না থাকায় অনেকে খাসির চামড়া ফেলে দিয়েছেনএবারও এমনটা হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছেঅনেক ব্যবসায়ীদের ধারণা এবার দেশের ট্রানারি মালিকরা চামড়ার সঠিক মূল্য না দিলে চামড়া ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।   

এবিষয়ে রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চামড়া শিল্প ধ্বংসের কারণ হচ্ছে ঢাকার ব্যবসায়ীরাতারা সিন্ডিকেট করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেঅনেকের লোকসান হয়েছেআমি নিজেও লোকসানে পড়ে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছিকেউ কেউ অন্য পেশায় গেছেন