সুন্দরবনে ১২০ বোতল শক্তিশালী কীটনাশক ও জালসহ নৌকা আটক

সুন্দরবনে ১২০ বোতল শক্তিশালী কীটনাশক ও জালসহ নৌকা আটক
সারাদেশ খুলনা

সুমন দাস, বাগেরহাট 

বিষ দিয়ে মাছ শিকার এখন সুন্দরবনের জন্য গুরুতর হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। পবিত্র ঈদুল-আযহার দিনেও সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সংঘবদ্ধ চক্র থেমে নেই। এদিন রবিবার বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কাইনমারী খাল থেকে একশত কুড়ি বোতল বিষ, একটি জালি নৌকা এবং ৬’শ মিটার জালসহ মাছ শুকটী করার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এসময় বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘সংঘবদ্ধ বিষচক্রের’ অন্তত ৪ জন পালিয়ে যায়। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ রানা দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ওৎ পেতে ছিলাম। এক পর্যায়ে পশুর নদীতে একটি মাছ শিকারের ডিঙ্গী নৌকা দেখতে পাই। নৌকায় ৪ জন ছিলেন। তখন তাদের ধাওয়া করলে ওরা দ্রুত নৌকা বেয়ে কাইনমারী খালের মোহনায় কাদার মধ্যে নৌকা ঢুকিয়ে ডুবিয়ে ফেলতে চেষ্টা করে। এতিমধ্যে আমরা সেখানে পৌছে যাওয়ায় তারা নৌকা ফেলে দু’পাশ থেকে নেমে গ্রামের মধ্যে পালিয়ে যায়। ব্যাপক খোঁজাখুজি করেও তাৎক্ষনিক তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তল্লাশী চলছে। এসময় নৌকা থেকে ১”শ ৩ বোতল বোতল রিপকর্ড এবং ১৭ বোতল এগ্রোমের্থিন যা খুবই শক্তিশালী বিষ (কীটনাশক) এবং মাছ শিকারের ৬’শ মিটারের ৮ টি নিষিদ্ধ টোনা জালসহ  মাছ শুটকী করার ১৮ টি চাটাই জদ্ব করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে বনকর্মীরা শিথিল থাকবে বা’ নজরদারী কম থাকবে ভেবে ‘বিষ দিয়ে সুন্দরবনে মাছ শিকারের সংঘবদ্ধ’ এ চক্রটি বিপুল পরিমান বিষ নিয়ে বনে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। এসিএফ রানা দেব-এর ভাষায়, বিষ দিয়ে মাছ শিকার এখন সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্যের জন্য গুরুতর হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংঘবদ্ধ এমন একাধিক চক্র নানা ছদ্মাবরণে সক্রিয় আছে বলে গোপন সংবাদ রয়েছে। যে কোন মূল্যে এদের ধরতে বনবিভাগ সর্বচ্চ সর্তক রয়েছে।”