ড্রেন খননের কাজ দ্রুত শেষ করার আহবান ব্যবসায়ীদের

ড্রেন খননের কাজ দ্রুত শেষ করার আহবান ব্যবসায়ীদের
সারাদেশ ময়মনসিংহ

জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর

চলতি বর্ষা মৌসুমে জামালপুর শহরের নতুন বাইপাস সড়কের একপাশে শুরু হয়েছে ড্রেন খননের কাজএতে সড়কের উত্তরপাশে অবস্থিত দোকানপাট, হোটেল, ওয়ার্কশপসহ নানা প্রতিষ্ঠানে ভাটা পড়েছে ব্যবসায়িক কাজকর্ম

অপরিকল্পিতভাবে এই ড্রেন খননের কারণে বিরাট আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদেরতবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সওজের দাবি পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে জরুরিভিত্তিতে ওই সড়কের পাশে চলছে ড্রেন খননকাজএতে কোনো দোকান মালিকের জমি পড়েনি

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন দেখা গেছে, সড়ক জনপথের খননযন্ত্র দিয়ে খোঁড়া হচ্ছে ড্রেনপথপ্রতিটি দোকান থেকে প্রায় - ফুট দূর দিয়ে চলছে এই খননকাজখননের সময় ধসে পড়ছে আশপাশের মাটিখননকৃত মাটি রাখা হয়েছে সড়কের পাশেইজলকাদায় মাখামাখি ওই জায়গাটুকুদোকানপাট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে এই কাদাজল মাড়িয়ে যেতে হয়এছাড়া কাঁচা ড্রেনের দুপাশে ইঁটের গাঁথুনি দিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়েছেস্ল্যাব দেওয়া হয়নিসেজন্য সড়কের এ পাশের দোকানপাট এড়িয়ে যাচ্ছেন খরিদ্দাররা

সওজের যেসব কর্মকর্তা এই ড্রেন নির্মাণে তদারকি করছেন তাদের ভাষ্য অনুয়ায়ী- আগামী ডিসেম্বর মাসে স্থায়ীভাবে এই ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সওজএখন পানি নিষ্কাশনের জন্য অস্থায়ীভাবে করা হচ্ছে ড্রেন নির্মাণ

বিষয়ে জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এনামুল হক মিলন জানান, ড্রেন নির্মাণকাজে একদিকে ব্যবসায়ীরা যেমন আনন্দিত অন্যদিকে আতঙ্কিতকারণ কাঁচা ড্রেন অবস্থায় রাখলে আগামী কয়েক মাস ব্যবসা একেবারেই বন্ধ থাকবেএতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন ব্যবসায়ীরাতাই এই ড্রেন যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় এবং ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে পৌর মেয়র সংসদ সদস্যের ইতিবাচক দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান তিনি

নতুন বাইপাস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. হাবিল উদ্দিন জানান, ঈদের আগে থেকে এখানে ড্রেন খননের কাজ শুরু করেছে সওজএর আগে সওজ থেকে ড্রেন খনন করে ফেলে রাখা হয়েছিলতারা এই ড্রেন পাকাকরণের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনিআমরা নিজেদের টাকায় অপরিকল্পিতভাবে খননকৃত ওই ড্রেনের গর্তে চোঙ্গাপুল দিয়ে মাটি ভরাট করে দিয়েছিএতে পানি নিষ্কাশনে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নিএই কাজ করতে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছেএর ওপরেই খনন করে সেসব পুল তুলে দুইপাশে ইঁটের গাঁথুনি দিয়ে উন্মুক্ত করে রাখা হচ্ছেফলে সড়ক থেকে দোকানপাটে যাতায়াতসহ বেচাকেনায় তৈরি হয়েছে বিরাট সমস্যাযদি খননের পরপরই রিংকালভার্ট দিয়ে মাটি ভরাট করে সমান করা হতো তবে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ লাঘব হতো অনেকাংশেই

বিষয়ে জামালপুর সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাগরময় রায় জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওখানে চলমান রয়েছে ড্রেন খননের কাজচলতি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে ওই সড়কের একপাশে ড্রেন খনন করা হচ্ছেআমাদের অধিভুক্ত জমিতেই চলছে ড্রেন খননএতে কোন দোকান মালিকের জমি পড়েনিতবে ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেই বিষয়ে দৃষ্টি রাখা হবে