খাগড়াছড়িতে চতুর্থ দফার বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষক

খাগড়াছড়িতে চতুর্থ দফার বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে  কৃষক
সারাদেশ চট্টগ্রাম

জেলা প্রতিনিধিখাগড়াছড়ি 

খাগড়াছড়িতে চেঙ্গীদীঘিনালায় মাইনি নদীর পানিতে বন্যায় পরপর চারবার ডুবলো এলাকাবাসীচতুর্থ দফার বন্যায় ক্ষতি হয়েছে বেশি কৃষকদেরতাদের বাড়ি ঘরের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি ফসলী জমি দীর্ঘদিন পানিতে ডুবে থাকায় সব নষ্ট হয়ে গেছেগোটা জেলায়  এগারহাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে  

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত  দীঘিনালা উপজেলায়সদরে বন্যার পানি উন্নতি হলেও  ত্রাণমাইনি নদীর পানি এখনো সম্পূর্ণ নামেনিপানি আস্তে আস্তে নামায় কৃষকরা এখনো দিশেহারাখাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, রামগড় উপজেলা মিলে এগারহাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেএদের রোপা, আমন, আউশ, সবজি সহ সব পানিতে তলিয়ে গেছেএখনোও কৃষকদের কোন সহযোগিতা করতে পাচ্ছে না কর্তৃপক্ষতবে তালিকা প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কর্মকর্তারা 

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে সেনাবাহিনী, জেলা প্রসাশনপৌর প্রশাসন সহ বিভিন্ন বেসরকারি নিজ নিজ উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে 

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীরা জানান, পরপর খাগড়াছড়িতে চার বার বন্যা হলেও চতুর্থ বারে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেতাদের কৃষি ফসলী জমি পানিতে ডোবা থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছেতবে এই যাবতারা কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি বলে জানানঘর-বাড়ি কৃষি জমি পানিকে ডুবে বর্তমানে কৃষকরা দিশেহারা 

খাগড়াছড়ি সদর কৃষি কর্মকর্তা মুক্ত চাকমা জানান, গোটা জেলায় আউশ ১৪৬  আমন ১৬৫৫ সবজি ৩৫৩ হেক্টর জমি ফসল নষ্ট হয়ে গেছেএতে ১১ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  রোপা, আমন, আউস, সবজি গুলো  পলি মাটিতে একাকার হয়ে পড়ে আছেকোথাও কোথাও এখনো পানির নিচেক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকাভুক্ত করা হচ্ছেআর্থিক অথবা বীজ-চারা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য উপ কৃষি বিভাগে পাঠানো হবেযাতে কৃষকরা আবারও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে